আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষণ - আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভা।
প্রিয় পাঠক,আজকে আমি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের জন্য আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষণ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরব। মাতৃভাষা প্রত্যেকটি জাতির জাতিসত্তা বিকাশের মাধ্যম। পৃথিবীর প্রতিটি জাতিগোষ্ঠী মাতৃভাষাকে মর্যাদা দিয়ে থাকে।
একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির জন্য একটি অবিস্মরণীয় দিন।একুশে ফেব্রুয়ারি শুধু বাংলাদেশে না সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়। বাঙালি জাতির জীবনে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন এই দিনে হাজারো বাঙালি নিজের রক্ত ঝরিয়েছেন বাংলা ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য। নিম্নে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষণ ও মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ভূমিকা
একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই বিস্তারিতভাবে জানা নেই, প্রিয় পাঠক আমি আপনাদের জন্য একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষণ ও মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আমার এই আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে।
একুশে ফেব্রুয়ারির তাৎপর্য, একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে রচনা,আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা,একুশে ফেব্রুয়ারিতে ভাষা শহীদের ত্যাগ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি চলুন জেনে নেওয়া যাক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষণ ও মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভা।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা তাৎপর্য
একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন।এই দিনে বাঙালি জাতি ভাষার জন্য জীবন দিয়েছেন। ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস হিসেবেও পরিচিত। এই দিবসটি বাঙালি জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে পালিত হয়। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস শুধুমাত্র বাঙালি জাতির জন্যই সীমাবদ্ধ নয় এটি সারা বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি দিবস।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি হাজারো বাঙ্গালী রক্ত ঝরিয়েছেন বাংলা ভাষাকে আর মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য। ভাষার মাধ্যমেই একটি জাতি তার চিন্তাভাবনা,মূল্যবোধ ও চেতনার বিকাশ ঘটান। তাই ভাষার মর্যাদা রক্ষা করা প্রতিটি জাতির জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় সারা বিশ্বে।
আরো পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং কি
২১ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে পালন করা হয়, এবং ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হয় এই দিনটিতে। ভাষা শহীদদেরকে স্মরণ করে প্রতিটা বাঙালি এই দিনে। একুশে ফেব্রুয়ারির সকালে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ভাষা শহীদদের স্মরণে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয় হয়। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষণ
মাননীয় সভাপতি, ভদ্রমহিলা ,ভদ্রমহোদয়গণ ও সম্মানিত অতিথিগণ আসসালামু আলাইকুম আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই আলোচনা সভার শুরুতে আপনাদেরকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
বাঙালি জাতির জীবনে ২১ মানেই পরাশক্তির কাছে মাথা নত না করার দিন। ২১ মানেই রাজপথ কাঁপানো সংগ্রামের একটি দিন,মায়ের ভাষায় কথা বলার জন্য রাজপথ কাঁপানো মিছিল আন্দোলনের একটি মুহূর্ত। এই দিনে হাজারো মায়ের ছেলে তাদের বুকের রক্ত ঝরিয়েছে রাজপথে তাদের রক্তের বিনিময়ে আজ আমরা পেয়েছি মায়ের ভাষা বাংলা ভাষাকে।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি জাতির জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন। আরে ২১শে ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে ভাষা আন্দোলনের সূচনা হয় এবং শোষণ ও পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয় বাঙালি জাতি।
সম্মানিত সুধিবৃন্দ,বাংলা নামক দেশটি বিশ্ববাসীর কাছে ভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। অন্যতম কারণ হলো ভাষার জন্য আত্মত্যাগ ও সংগ্রাম।
ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, প্রতিটি জাতি জন্মগত ভাবে ভাষায় স্বাধীনভাবে কথা বলে এবং নিজের মনের ভাব প্রকাশ করে থাকে। ভৌগোলিক স্বাধীনতা না থাকলেও ভাষার স্বাধীনতা প্রতিটা মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। নিজের ভাষায় কথা বলার জন্য ছাত্র জনতা, শ্রমিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী সহ নানা স্তরের মানুষ আত্মত্যাগ করেছে যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
ইতিহাস ঘেঁটে দেখলে দেখা যায় প্রতিটি জাতি তার নিজস্ব ভাষায় কথা বলে এবং মনের ভাব প্রকাশ করে। পুলিশের গুলিতে জীবন দিয়েছে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার সহ অসংখ্য তাজা প্রাণ। রক্তের বন্যায় সিক্ত হয়েছে বাংলা মায়ের বুক। আমরা জানি,১৯৪৭ সালে ভারত বর্ষ ব্রিটিশ শাসন মুক্ত হয় এবং পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান নামক দুটি রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়।
পাকিস্তানের শাসন ব্যবস্থা ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের হাতে। তারা শুরু থেকেই পাকিস্তানের প্রতি বৈষম্য নীতি ও শোষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়।শুরু থেকে তারা চক্রান্ত করে তাদের বাংলা ভাষাকে নিয়ে শতকরা ৫৮ অধিবাসের মুখের ভাষা ছিল বাংলা। ফলে রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে বাংলা স্বীকৃতি পাবে এটাই স্বাভাবিক সর্বপ্রথম ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদের অধিবেশনে দাবি উত্থাপন করেন।
কিন্তু শাসকচক্র উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে বৈষম্যমূলক আচরণ শুরু করে। পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতামোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ১৯৪৮ সালের ২১ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জনসভায় উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা দেন।
২৪ মার্চ কার্জন হলের অনুষ্ঠানেও তিনি এ ঘোষণা পুনরায় দেন। ১৯৫২ সালের ৩০ জানুয়ারি ঢাকার এক জনসভায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা করলে, বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সমগ্র বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠী।গঠিত হয় তমদ্দুন মজলিস ও ভাষা সংগ্রাম পরিষদ।বাংলা জাতির সর্বস্তরের মানুষ মিছিল মিটিং স্লোগানে মুখরত হয়ে ওঠেন।
এর চূড়ান্ত রূপ লাভ করে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি লাল রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় বাংলা ভাষা।২১ কে কেন্দ্র করে শুরু হয় বাঙালি জাতির মনে স্বাধীনতা অর্জনের প্রচেষ্টা।৫৪ সালের প্রাদেশিক নির্বাচন, ৬২ সালের ছাত্র অভ্যুত্থান, ৬৬ সালের ৬ দফা ভিত্তিক আন্দলোন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও ৭০- এর সাধারণ নির্বাচনে বাঙালির সফলতা একুশকে কেন্দ্র করেই অর্জিত হয়েছে। মূলত একুশকে কেন্দ্র করেই বাঙালি সংগঠিত হয়েছে।
এবং আন্দোলন ও সংগ্রামের মাধ্যমে ন্যায্য অধিকার আদায়ের কৌশল রক্ত করেছে।যার ফলে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।
পরিশেষে বলতে চাই ,মাতৃভাষার সুরক্ষা, বিকাশ এবং অনুশীলন ছাড়া কোনো জাতি অগ্রসর হতে পারে না তাই বাংলা ভাষাকে সম্মান জানাতে হবে। এবং তা রক্ষা করার দায়িত্ব প্রতিটি বাঙালির।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভা
প্রিয় পাঠক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভা নিয়ে বিস্তারিত নিচে তুলে ধরা হলো আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে আপনারা আমার আর্টিকেল থেকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন।
বায়ান্নর ভাষা শহীদদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। গভীর শ্রদ্ধা জানাই বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি। একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির জন্য একটি গৌরব উজ্জ্বল দিন একুশ মানেই সাহস। এই দিন বাংলার হাজারো মানুষ রক্ত ঝরিয়েছেন নিজের মাতৃভাষা বাংলাকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য।
সকল ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা যাদের বিনিময়ে আমরা মায়ের ভাষাকে পেয়েছি।একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এই দিনটি সরকারিভাবে পালন করা হয় শুধু দেশেই না সারা বিশ্বে এই দিনটি পালন করা হয়। ১৯৫২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য পাকিস্তানি সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছিল।
এবং সালাম রফিক,জব্বার, বরকত সহ আরো অনেকে প্রাণ দিয়েছিলেন।এই দিনে ছাত্র শিক্ষক কৃষক দিনমজুর সহ সকলেই বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানান এবং মিছিল মিটিং করেন। পুলিশের গুলিতে অনেকেই জীবন দিয়েছেন যার বিনিময়ে আমরা বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে পেয়েছি। ভাষা আন্দোলন স্বাধীনতার পূর্ব সূচনা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
এটি বাঙ্গালীদের ভেতরে জাতীয়তাবাদ ও ঐক্য সৃষ্টি করেন ১৯৯৯ সালে, ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।যা মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসটি বিভিন্নভাবে পালন করা হয় বিভিন্ন স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানে এই দিনটি পালন করা হ। সরকারি ভবন গুলোতে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে এই দিনটি পালন করা হয়।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ফুল দেওয়া হয়।বিশ্বজুড়ে ভাষাগত অধিকার এবং বৈচিত্র্যের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করে একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলন প্রতিটি জাতির পরস্পরের মাঝে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ভাষায় কথা বলার অর্থ হচ্ছে নিজের মনের ভাব অন্যের সাথে প্রকাশ করা।
মানুষ অন্য গোষ্ঠী বা জাতির সাংস্কৃতিক চেতনার সন্ধান পায় এই ভাষার মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী ধ্যান ধারণার বিকাশে ভাষার গুরুত্ব অপরিসীম। ভাষা মানুষের অস্তিত্বের অংশ বিশেষ মায়ের ভাষাকে কোনভাবেই ধ্বংস করা যায় না মাতৃভাষায় আঘাত আসলে নিজের জীবন দিয়ে হলেও তার রক্ষা করা যায়। তার দৃষ্টান্ত প্রমাণ হলো বাঙালি জাতি যারা নিজেদের প্রাণ দিয়ে নিজ মাতৃভাষাকে রক্ষা করেছেন।
২১ ফেব্রুয়ারির সংক্ষিপ্ত বক্তব্য
শুভ সকাল/ শুভ দুপুর /শুভ বিকেল
আমি আমার বক্তব্যের শুরুতেই সম্মানিত সভাপতি, বিশেষ অতিথিবৃন্দ, আমার সম্মানিত শিক্ষকমন্ডলী সবাইকে জানাই আমার সালাম আসসালামু আলাইকুম। আজকের দিনটি এমন একটি দিন এই দিনের জন্য আমরা নিজের মাতৃভাষায় কথা বলতে পারছি নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারছি। আজকের দিনের বিনিময়ে স্বাধীনসার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি।
ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট একদিনে তৈরি হয়নি বাঙালি জাতির বিনিময়ে জীবন দানের মাধ্যমে এই দিনের সূচনা হয়েছে। যার বহিঃপ্রকাশ অমর ২১। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন সংলগ্ন আমতলায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল ছাত্রসভা ১৪৪ ধারা প্রতিশ্রুতি নিচ্ছিল ছাত্র জনতা। ছাত্র জনতা এই দিনে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করেন।
সরকারের নির্দেশে পুলিশের গুলিতে সালাম রফিক জব্বার বরকত ও শফিকসহ আরো অনেকে প্রাণ হারায়। শহীদদের রক্তের বিনিময়ে আজ আমরা মাতৃভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। সে আন্দোলন শুধু ভাষা আন্দোলন ছিল না শাসক ও শোষকদের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতি নিজ দেশকে স্বাধীন করার আন্দোলন ছিল এটি।
আজ ২১শে ফেব্রুয়ারি।আজকের দিনটি আমাদের সকলের জন্য। কোন একটি দিন আজকের দিনে আমরা নিজেদের মাতৃভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি আমাদের পূর্বপুরুষরা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছেন।মাতৃভাষা আমাদের অস্তিত্বের প্রতীক।এই ভাষার জন্য আমরা নিজেদেরকে তুলে ধরতে পারি সঠিকভাবে নিজ জাতি বা গোষ্ঠীর কাছে।
আমাদের অনুভূতি ভাবনা চেতনার বাহন আমাদের মাতৃভাষা। সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখে নিজ মাতৃভাষা। আমাদের সকলের উচিত নিজ ভাষাকে সঠিকভাবে তুলে ধরা এবং তার ব্যবহার করা নিজ ভাষার প্রসার ও বিকাশে সাহায্য করা আমাদের প্রতিটি বাঙালির কর্তব্য ভাষা শহীদদের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।
২১ ফেব্রুয়ারির কবিতা
মনে পড়ে বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারী,
লাখো বাঙালির কাতর চিত্তে করুন আহাজারি.
একুশ তুমি বাংলার মানুষের হৃদয় ভরা আশা,
তোমার কারণে পেয়েছি আজ কাঙ্খিত মাতৃভাষা.
রক্ত ঝরালো সালাম, বরকত, রফিক, শফিক, জব্বার,
বায়ান্নর সেই করুন কাহিনী মনে পড়ে বারবার,
স্মৃতির পাতায় ভেসে ওঠে সেই বিষন্ন দিনের কথা,
যত ভাবি ততই যেন মনে পাই বড় ব্যথা।
প্রতিবাদে মুখর দৃঢ় চিত্তে বাংলার দামাল ছেলে,
আরো আছে কত শ্রমিক, যুবক, নারী, কৃষক ও জেলে।
অবশেষে দাবি মেনে নিতে বাধ্য হলো সরকার,
বাঙালিরা পেল মাতৃভাষার সোনালী দিবাকর।
রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি আজ কাঙ্খিত মাতৃভাষা,
একুশ তুমি চির অমর তুমি আমাদের ভালবাসা।
জহিরের একুশে ফেব্রুয়ারি কবিতা
জহিরের কথাগুলো দৈববাণী হয়।
আরেক ফাল্গুনে দেখো, জনতার স্রোত,
সত্যিই দ্বিগুণ হয়।
রাজপথে নেমে আসে, গলিত লাভার মত,
স্ফুলিঙ্গ অনল হয়ে দাবানল হয়।
বাংলার ঘরে ঘরে গাফফার গেয়ে উঠে,
আমার ভায়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশের গান।
আমাদের অন্তর্গত হৃদয়ের বাণী,
ছড়ায় সমগ্র বিশ্বে – গানে গানে, কবিতা কথায়।
সুদূর টরেন্টো হয়ে, চেরিদের বনে,
পৌছে যায় বাংলার প্রতিবাদী সুর।
ঝংকারে মথিত হয়, লাল রং ক্যাঙ্গারুর ভূমি
মাতৃভাষা স্মৃতিসৌধ, মাথা তোলে দেশে দেশে,
মায়ের ভাষার দাবী প্রতিষ্ঠিত করে।
শুন হে বরকত শুন, শুন হে সালাম,
তোমাদের আত্মত্যাগ ব্যর্থ হয় নাই।
তোমরা দিয়েছ প্রাণ, তাই –
আমরা মায়ের বোলে, কথা বলি, গান গেয়ে যাই।
ভাষা শহীদদের স্মরণে কবিতা
একুশে ফেব্রুয়ারি,
শোকের দিন, বেদনার দিন,
ভাষা শহীদদের স্মরণে
আমাদের অশ্রুজল ঝরিবে।
তোমরা জীবন দিয়েছ,
আমাদের ভাষা বাঁচাতে,
আমাদের মাথা নত,
তোমাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাইতে।
তোমাদের রক্তের বিনিময়ে,
আমরা পেয়েছি আমাদের ভাষা,
এই ভাষায় আমরা গাইব,
আমাদের গান, আমাদের আশা।
তোমাদের আত্মত্যাগ,
কখনো ভোলা যাবে না,
আমাদের হৃদয়ে তোমরা,
চিরকাল অমর থাকবে।
একুশে ফেব্রুয়ারি,
শুধু শোকের দিন নয়,
এটি প্রতিজ্ঞার দিন,
আমাদের ভাষা, আমাদের সংস্কৃতি,
রাখব আমরা ঠাঁই।
২১ শে ফেব্রুয়ারি,
একটি ঐতিহাসিক দিন,
এই দিনে আমরা শিখি,
ভাষার জন্য প্রাণ দিতে হয়।
ভাষা শহীদদের প্রতি,
আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।
ছোটদের একুশের কবিতা
আগুন ঝরা ফাগুন দিনে
মাতৃভাষা আনলো কিনে
প্রাণের বিনিময়ে
রক্তস্রোত যায় যে বয়ে
রয় ইতিহাস সাক্ষী হয়ে
অপার এক বিস্ময়ে!
একুশে ফেব্রুয়ারির কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ
- শহীদ মিনারে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করা হয় একুশে ফেব্রুয়ারি সকালে
- সেমিনার ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়
- কবিতা আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে
- বিতর্ক প্রপ্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হয়
- প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়
মন্তব্য
প্রিয় পাঠক, আমাদের অনুভূতি ভাবনা চেতনার বাহন আমাদের মাতৃভাষা। তাই আমাদের সকলের উচিত নিজ ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো এবং তার সঠিক ব্যবহার করা। আমি আপনাদের জন্য আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষণ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
আশা করি আমার এই আরটিকালের মাধ্যমে আপনাদের কিছু তথ্য জানাতে পেরেছি। আমার লেখা যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই লাইক কমেন্ট এবং শেয়ার করে আমার পাশে থাকবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url